এফ এম শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ‘ডাকাত সাজিয়ে’ কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি পুলিশের এসআই আকরাম উদ্দিন শেখকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার নোয়াখালীর ৪ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ এ আদেশ দেন।
পরে আদালত পুলিশ পরিদর্শক নাজমূল হক গণমাধ্যমকে জানান, মিলন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এসআই আকরাম উদ্দিন বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্যে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় একই আদালতে মঙ্গলবার ১০ জন আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন আজিজুল হক, আহছান উল্যা,আকবর হোসেন ওরফে সুমন,দেলোয়ার হোসেন ওরফে স্বপন,সালাহ উদ্দিন ওরফে মিলন,ওমর ফারুক,মো. সবুজ,আবুল খায়ের ওরফে লিটু, নুর উদ্দিন ওরফে বাবু ও মো. সেলিম। এ মামলায় আটজন আসামি ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে আছেন। আর মঙ্গল ও বুধবার আত্মসমর্পণ করলেন ১১ আসামি। বাকি নয়জন আসামি পলাতক আছেন। ২০১১ সালের ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া এলাকায় ডাকাত সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ গাড়িতে করে এনে জনতার হাতে এই কিশোরকে তুলে দিলে জনতা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়াসহ পুরো ঘটনাটির ভিডিওচিত্র সে সময় ভাইরাল হয়।
এ ঘটনার পর ওই বছরের ৩ আগস্ট মিলনের মা কোহিনুর বেগম আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। মামলায় তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আদালত থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় যাওয়ার পর প্রথমে থানা-পুলিশ, পরে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়